টাঙ্গাইলে র্যাবের অভিযানে নিহত দুই ‘জঙ্গি’ আতিকুর ও সাগরের বাড়ির কোনো হদিস পায়নি রাজশাহীর চারঘাট থানা পুলিশ ও র্যাব-৫ এর সদস্যরা।
এর আগে র্যাব-১২’র ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকীর পক্ষ থেকে মোবাইলে পাঠানো এক খুদে বার্তায় নিহত দু’জনই রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ঠিকানা অনুযায়ী তাদের দু’জনের বাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রোববার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন ও র্যাব-৫ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম এ তথ্য জানান।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, তারা খবর পেয়ে উপজেলার নিমপাড়া ও ইউসুফপুর এলাকায় শনিবার (০৮ অক্টোবর) থেকেই খোঁজ নেওয়া শুরু করেন।
এর মধ্যে নিমপাড়া গ্রামে আতিকুর নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। আর ইউসুফপুরে সাগর নামে বেশ ক’জনকে পাওয়া গেলেও বাবা-মায়ের সঙ্গে নাম মেলেনি। এছাড়া তারা পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে যেন না পারা যায় সেজন্য জঙ্গিরা ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। তবুও তাদের পরিচয় বের করতে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম জানান, নিহত দুই জঙ্গি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এখনও তাদের কোনো হদিস মেলেনি। তবে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কোনো তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
এর আগে শনিবার (০৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের কাগমারা মির্জামাঠ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালায়।
অভিযানের পর ৠাব জানায়, ‘জঙ্গিরা’ র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলে দুই ‘জঙ্গি’ নিহত হয়। দু’জনেরই আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে আতিকুরের বাবার নাম লতিফুর রহমান। তার বাড়ি চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামে। সাগর একই উপজেলার ইউসুফপুরের জুনায়েদ হোসেনের ছেলে।
Discussion about this post