নিজস্ব প্রতিবেদক: নুসরাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলে পাঠাতে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেলা কারাগারে পৃথক কনডেম সেল না থাকায় ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ফেনী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রফিকুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
রফিকুল কাদের বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি যেসব সেলে রয়েছে, সেগুলোতে অন্য আসামিদেরও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারণ কুমিল্লা কারাগারে অনেকগুলো কনডেম সেল রয়েছে। সেসব কনডেম সেল ফাঁকা থাকলে আসামিদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে। সেখানে ফাঁকা না থাকলে কাশিমপুরসহ যেসব কেন্দ্রীয় কারাগারে কনডেম সেল ফাঁকা রয়েছে, সেখানে আসামিদের পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
অপরদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স মঙ্গলবার যাচ্ছে হাইকোর্টে।
বিচারিক আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহমেদ বলেন, ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামনুর রশিদের সংশ্লিষ্ট আইনের ৪(১)/৩০ ধারায় দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি- আগামী ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবারের মধ্যে নুসরাত হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠাতে পারবো।
৩৭৪ ধারায় বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের কাছে কার্যক্রম পেশ করতে হবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করা হবে না।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহ জাহান সাজু বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকারভিত্তিতে উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে পড়েছি।
তিনি বলেন, ডেথ রেফারেন্স প্রস্তুত হলে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়ে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে। মামলা নিষ্পত্তিতে যাতে কম সময় লাগে, সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আমি কথা বলবো। তার এমন উদ্যোগী ভূমিকায় মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আশাবাদী হয়েছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সোয়া ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন এবং প্রত্যেক আসামিকে একলাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি।
Discussion about this post