নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় প্রশাসনের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ সদর দফতরের পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল আজ ফেনী যাচ্ছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমিন। তদন্ত দলের বাকিদের মধ্যে দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পরিদর্শক।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সোনাগাজীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার তিন দিন পর পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়গুলো উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে সোনাগাজীর ওসিসহ স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান কমিটিও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ প্রশাসনের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে। তদন্ত শেষে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশে গঠিত এ কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করবেন বলে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে ।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে, এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের তিন তলায় যান। সেখানে মুখোশধারী বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গত ৬ এপ্রিল সলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে বোরকা পড়া চার জন তার হাত বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর দগ্ধ নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আগুনে তার শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠণ করা হয়। পাঁচ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু ঘটে।
Discussion about this post