মামুনুর রহমান নেত্রকোনা প্রতিনিধি,ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপিএল) ঘিরে নেত্রকোনায় জুয়ার আসর বসছে। ভারতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা চলছে। টেলিভিশনের সামনে বসে লোকজন লাখ লাখ টাকা বাজি ধরছে। ব্যবসায়ী, তরুণ থেকে শুরু করে ছাত্ররাও আইপিএল-জুয়ায় যুক্ত হচ্ছে। নেত্রকোনার সমাজব্যবস্থায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জনপ্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রশাসন জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নিচ্চে না । ফলে দিন দিন এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেদিন থেকে সুরু হয়েছে সে সময় থেকে ধিরে ধিরে নেত্রকোনায় জুয়ার আধিক্য বাড়ে। খেলাকে ঘিরে অঞ্চলভিত্তিক জুয়াড়ি চক্র সক্রিয় আছে। তারা দিনের শুরু থেকে ম্যাচ শুরুর আগ পর্যন্ত দর্শকদের কাছে যায়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। আগ্রহী ব্যক্তিরা পছন্দমতো খেলায় বাজি ধরে। আজকের ম্যাচে জিতবে কোন দল? ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার যাবে কার হাতে? সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হবে কোন খেলোয়াড়? চার, ছক্কা হবে কয়টি? এমন কি প্রতি বলে বলেও হয় বাজি। এ ছাড়া খেলা চলাকালে ওভারে ওভারে বাজি চলে। নেত্রকোনার বিভিন্ন অঞ্চলের পাড়ার ক্লাব, দোকানঘরগুলোতে বিকেলের পর থেকে জুয়ার এই আসর বসে। অনেকেরেই ধরনা খেলাধুলা মানুষের বিনোদনের অংশ। খেলা নিয়ে জুয়া হলে সমাজে ও মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।জেলার প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলার আনাচে-কানাচে আইপিএল নামে ক্রিকেট জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পরছে জুয়া খেলা।। সেদিন কলকাতা নাইট রাইডার্স এর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চলছিল । জেলার কুরপাড়ের একটি চায়ের দোকানে বসে খেলা দেখায় মগ্ন এক তরুণ জানান, ওভারের জুয়ায় ১০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। একই দিন আনন্দবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের একটি কক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন বসে টিভি দেখছেন। তাঁদের মধ্যে কথা হয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বলেন, অস্বীকার করার উপায় নেই, লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়ে যাচ্ছে। সাতপাই রেল ক্রসিং , সাতপাই কলেজ রোড, মালনি, কাটলি, গরুহাট্টা গিয়ে সড়কের পাশের দোকানগুলোতে একই চিত্র দেখা যায়। সরজমিনে এক জুয়াড়ির কথা আমরা অবাক হই, তিনি বলেন, এমনও হয়েছে, একজন ব্যবসায়ী এক রাতে কয়েক লাখ টাকা হেরেছেন। আবার পরের রাতে কয়েক লাখ টাকা জিতেছেন। এমতাবস্থায় চললে আমাদের সমাজ বেবস্থা, আমাদের তরুন সমাজ জুয়ায় মগ্ন হয়ে অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ, সমাজ ও আমাদের পরিবার। তাই কর্তৃপক্ষের যথাযথ বেবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
Discussion about this post