‘আসি তবে ধন্যবাদ, না না সে কি? প্রচুর খেয়েছি আপ্যায়ন সমাদর যতটা পেয়েছি, ধারণাই ছিল না আমার- ধন্যবাদ….।’
কবিতার এই চরণ শোনা বা পড়া হয়নি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। কবিতার মধ্যে দরিদ্র কেরানি এবং অফিসের বড় কর্তার যে লাইফস্টাইল, ‘ডলি’ নামে কুকুর ছানার জন্মোৎসব পালনের মধ্য দিয়েই তা প্রতিফলিত হয়েছে।
না। নতুন কোনো কুকুরের জন্মোৎসবের গল্প বলছি না। এবার বলছি- কুকুর পূজা উৎসবের কথা।
সম্প্রতি, নেপালে কুকুরের বার্ষিক পূজা উদযাপিত হয়েছে। সব অনুষ্ঠানিকতা শেষে কুকুরের নামেই আবার উৎসবটি উৎসর্গও করা হয়েছে। দেশটির হিন্দু নাগরিকরা উৎসবটিকে ‘কুকুর তিহার বা কুকুর পূজা’ বলে আখ্যায়িত করেন; যেখানে কুকুরকে মানুষের অনুগত উত্তম বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ওই দিন কুকুরগুলোও তাদের সর্বোচ্চ আনুগত্য, সবটুকু ভালোবাসা এবং বন্ধুতা দিয়ে উৎসবে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করে।
কুকুর পূজা উৎসব বলে কথা। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা কুকুরের গলায় ফুলের মালা দিয়ে ককুরকে সংবর্ধিত করে। প্রিয় কুকুরের কাপালে, মাথায় ও গায়ে হরেক রকম রং মাখিয়ে রঞ্জিত করে। কুকুরের জন্য সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। তাদের প্রয়োজনীয় টিকাদানের ব্যবস্থাও থাকে সেখানে। এছাড়া উৎসবে নানান স্বাদ-আহ্লাদ করে কুকুরের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করার চেষ্টা করা হয়।
এদিকে, কিছুদিন আগে বছরের সবচেয়ে বড় দিন ২২ জুন উদযাপন করতে চীনের গুয়াংজি ঝং প্রদেশে পালিত হয়ে গেল ‘ইউলিন উৎসব’।
ওই উৎসবে কুকুরের মাংস খাওয়ার ধুম পড়ে যায় বলে বিশ্বব্যাপী এটি ‘কুকুর উৎসব’ বলেই বেশি পরিচিত।
চীনের ওই ব্যতিক্রমধর্মী উৎসবে আগত অতিথিরা ১০ হাজারের বেশি কুকুর কাবাব বানিয়ে খান।
কুকুর উৎসবের নামে কুকুর হত্যা এবং কুকুরের কাবাব খাওয়ার বিষয়টিকে অনেকে আবার প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা হিসেবেই উল্লেখ করেছে।
চীনে সাবেক এক নারী শিক্ষক কুকুর উৎসবের আগ মুহূর্তে হত্যা থেকে বাঁচাতে একশ কুকুর কেনেন। তিনি এক হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে তার নিজ বাড়িতে কুকুরগুলো লালন-পালন শুরু করেছেন।
Discussion about this post