নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনাইমুড়ী: নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামে আব্বাস উদ্দিনের সহকামিতা এবং অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসী সবাই মিলে তার পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১২ ই ফেব্রয়ারী) সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামে।
আব্বাস উদ্দিন ঐ গ্রামের রুহুল আমিন এবং জাহানারা বেগমের ছেলে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূএে জানা গেছে, আব্বাস উদ্দিন নামের ঐ যুবক এক সময় সহকামীতাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। ছেলের এমন কর্মকান্ডের কারনে আব্বাসের পিতাকে কয়েকবার গ্রামের লোকজনের রোষানলেও পড়তে হয়েছে। এলাকায় এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে এবং ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করার আশায় এক পর্যায়ে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারীতে আব্বাসকে যুক্তরাজ্যে পাঠিয়ে দেন তার পরিবার। তবে যুক্তরাজ্যে গিয়েও অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে ফিরতে পারেনি আব্বাস। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমিরাবাদের বাসিন্দা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত আব্বাসের বেশ কয়েকজন বন্ধুও তাকে এসব অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে ফিরিয়ে আনতে জোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু সমকামীতায় আসক্ত আব্বাস কারো কথা না শুনেই নিজ গতিতে সমকামী বন্ধুদের সাথে জীবন যাপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমিরাবাদের বাসিন্দা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত রফিকুল ইসলাম, সেলিম ভূইয়া, ফয়সাল আহম্মেদ, দেলোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েক জনের মাধ্যমে বিষয়টি আব্বাসের নিজ গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
সূএে জানা গেছে, গ্রামের লোকজন বিভিন্নভাবে আব্বাসের পরিবারকে চাপ দিলেও তার এসব কর্মকান্ড বন্ধ না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার (১২ ই ফেব্রুয়ারী) পদুয়া গ্রামে এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে গ্রাম্য মাতব্বর ও এলাকাবাসী। সালিশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার,মসজিদের ইমাম ও এলাকার কয়েকশত লোক উপস্থিত ছিলেন। সালিশের উপস্থিত সকলের সিদ্ধান্তে রুহুল আমিনের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে একঘরে করার সিদ্বান্ত নেয়া হয়। আর এই সিদ্বান্ত এবং অপমান সহ্য করতে না পেরে ২০১৫ সালের ৭ মার্চ আব্বাসের মা ধূকে ধূকে মৃত্যুবরন করেন। ছেলের এমন অনৈতিক কার্য-কলাপে পরিবার আজ ধ্বংসের মুখে।
Discussion about this post