ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে বউ বিনিময়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌসেনার কয়েক জন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নিজের স্ত্রীকে সহকর্মীর হাতে তুলে দিয়ে সহকর্মীর স্ত্রীকে আপন করে নেন।
যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কোচিতে কর্মরত এক নৌসেনা অফিসারের বিবাহ বিচ্ছিন্না স্ত্রী এমনই অভিযোগ করেছেন।
২০১৩ সালে অভিযোগটি প্রথম সামনে এসেছিল। কিন্তু তখন বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে অভিযোগটির তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়ায় বিষয়টি আবার সামনে এসেছে।
অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন, ‘তিনি তার স্বামীকে এক সিনিয়র অফিসারের স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছিলেন। অভিযোগকারিনীকেও নাকি বলা হয়েছিল সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে। তিনি প্রতিবাদ করায় সিনিয়র অফিসারের স্ত্রী তাকে চড় মারেন এবং শাসানি দেন। কথা না শুনলে ফল খুব খারাপ হবে বলে হুমকি দেন।’
আইএনএস কোচির অন্য সিনিয়র অফিসারদের কাছে তিনি ঘটনাটি জানিয়েছিলেন বলেও অভিযোগকারিনীর দাবি করেন। কিন্তু কেউই নাকি বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি ঘটনাটি জানতে পেরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু নৌসেনার তরফে মন্ত্রককে জানানো হয়, অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
অভিযোগকারিনী ঐ মহিলা বলেছিলেন, ‘নৌসেনা অফিসারদের মধ্যে স্ত্রী বদল করার ঘটনা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। কেউ চাকরিতে টিকে থাকতে, কেউ উন্নতি করতে আবার কেউ স্বেচ্ছায় স্ত্রী বদলে রাজি হয়ে যান বলে ওই মহিলা দাবি করেন। নৌসেনার বিভিন্ন গেট টুগেদার বা পার্টিতেই এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে বলে জানানো হয়েছে।
নৌসেনার অভ্যন্তরীণ তদন্তে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দেওয়া হলেও অভিযোগকারিনী থামেননি। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি আর ভানুমতী কেরল পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে এই অভিযোগের তদন্ত করতে।
Discussion about this post