কাজী আতিকুর রহমান-নড়াইল প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪৫ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাতে নড়াইলের নড়াগাতি থানায় মামলাটি দায়ের করেন এসআই মারুফ-উল-ইসলাম। এছাড়া ১০ থেকে ১৫জন অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে। এদিকে বিএনপি নেতাদের শনিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াগাতি থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রজব আলী।
মামলার বিবরণে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের নড়াগাতির থানার খাশিয়াল গ্রামে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির উঠানে গত শুক্রবার বিকেলে বিএনপি, জামায়াত এবং সহযোগী সংগঠনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সরকারের উন্নয়ন ব্যাহত ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য নাশকতার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোপন বৈঠক করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নেতাকর্মীরা দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করলে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে চারটি হাত বোমা, ১০টি করে বাঁশের লাঠি ও কাটা রড এবং দুই ব্যাগ ইটের টুকরা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, নড়াগাতির খাশিয়াল গ্রামের নওশের আলী বিশ্বাস, খান মতিয়ার রহমান ও জিয়া খান পালিয়ে গেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
মামলার বাদী এসআই মারুফ-উল-ইসলাম বলেন, উদ্ধারকৃত আলামত এবং চার আসামির পালিয়ে যাওয়া থেকে নিশ্চিত হয়েছি তারা নাশকতার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবির মুরাদকে। এছাড়া বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর চারখাম্বা রেল রোড এলাকার সাজ্জাদুর রহমান, যশোর ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গা এলাকার এসকেন্দার আলী, লোহাগড়ার মঙ্গলপুরের খান কামরুল হোসাইন, নড়াগাতি থানার কাঠাদুরা গ্রামের জালাল হোসেন ও মাহফিজুর রহমান মামুন, কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, কাঠাদুরার মাহাবুবুর খান, কালিয়ার জোকা গ্রামের গাজী জিয়াউর রহমান, লোহাগড়ার গোপীনাথপুরের ইয়াছির আরাফাত শেখ, নড়াগাতি বাঐসোনা গ্রামের জাফর আলী মোল্যা, লোহাগড়ার ফিরোজ আহমেদ, জয়পুরের আকিদুল ইসলাম, নড়াগাতির ডুমুরিয়ার জুয়েল মোল্যা ও মনিরুজ্জামান, খাশিয়াল মাদরাসার সুপার নওগা জেলার গোয়াল গ্রামের আহম্মদ উল্লাহ, কালিয়ার মির্জাপুর গ্রামের হাসিব শেখ, লোহাগড়ার লক্ষীপাশার বাচ্চু মিনা, নড়াগাতির গোবরাডাঙ্গার আরমান আলী, কলাবাড়িয়ার মেহেদী হাসান ও শেখ রায়হাত হোসেন, নয়ামাউলির আজগর শেখ, খাশিয়ালের জাফর মোল্যা, নড়াইল সদরের বড়গাতির নাসির হায়দার টুটুল, কালিয়ার চাঁদপুরের মারুফ শেখ, লোহাগড়া মঙ্গলহাটার মফিজুর রহমান, কালিয়ার উরশী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, সদরের মহিষখোলার শাহিনুর রহমান মল্লিক, রতডাঙ্গার আব্দুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সভাপতির বড় ভাই মিজানুর রহমান বিশ্বাস, নড়াগাতির কলাগাছি গ্রামের আশরাফুল আলম, খাশিয়াল গ্রামের আশরাফ ভূঁইয়া, কাঠাদুরার মোল্যা নুরুল ইসলাম, বাঐসোনার মুজিবুল হক, কাঠাদুরার আকবর হোসেন, বড়গাতির আলমগীর কবির, গোয়ালবাথান বাগশ্রীরামপুরের মাওলানা তৈয়বুর রহমান, কাঠাদুরার খাজা মোল্যা, কালিয়া জয়পুরের সরদার আনোয়ার হোসেন ও নড়াইল শহরের চৌরাস্তা এলাকার নজরুল ইসলাম। আসামিরা যশোর, মাগুরা, নড়াইল জেলা, লোহাগড়া, কালিয়া ও নড়াগাতি থানা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
Discussion about this post