মো. আবুল কালাম আজাদ (৫০), এককালে ছিলেন রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের (পঙ্গু হাসপাতাল) ওয়ার্ড বয়। বর্তমানে নিজেই চিকিৎসক বনে গেছেন।
শুধুমাত্র এসএসসি পাস করেই চিকিৎসক হিসেবে হাড়ের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে এই প্রতারণার অবসান হয়েছে অবশেষে। সনদ না থাকা ভুয়া এই চিকিৎসককে আটক করে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মো. আবুল কালাম আজাদের বাড়ি উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকায়। তিনি এসএসসি পাস বলে জানা গেছে। চিকিৎসক সনদ ছাড়াই মোরেলগঞ্জ বাজারের রহিমা মেমোরিয়াল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে হাড়ের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
এছাড়া এসময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারণার দায়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দু’টি ক্লিনিককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানকালে ওই ক্লিনিকের অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ, স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারণা, প্রশিক্ষিত নার্স না থাকা, চিকিৎসক ছাড়াই হাসপাতাল পরিচালনা এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছাড়াই প্যাথলজি রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রহিমা মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অভিযোগে পার্শ্ববর্তী রাইসা ক্লিনিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে মোরেলগঞ্জের ওই দু’টি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই ভুয়া চিকিৎসকে এই কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া এসময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সেবার নিম্নমান, চিকিৎসক না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ক্লিনিক দু’টিকে জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ বাজারের অধিকাংশ ওষুধের দোকান, বেকারি ও খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা।
Discussion about this post