সাইফুল, পটিয়া প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজঃ
পটিয়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর এক প্রেমিক যুগলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দুপরিবারের মধ্যস্থতায় পটিয়া থানার অভ্যন্তরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬ লাখ টাকা কাবিন নামায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানায়। পৌরসদরের থানার মোড়স্থ স্থানীয় কাজী মো. ইয়াকুব কাবিন নামা লিখা শেষে প্রেমিক প্রেমিকা উভয় কবুল বলেছেন। সাধারণত মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে হলে ছেলে মেয়ে উভয় সম্মতি প্রকাশ করে কবুল বলে থাকে। জানা যায়, পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের গৈড়লার টেক সিকদার বাড়ি জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে কলেজ ছাত্রী তানজিনা সুলতানা তার আপন খালাতো ভাই চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ইউনিয়নের আমানত উল্লাহ হাজী বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে রিয়াজ উদ্দীনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত ৭ ফেব্রুয়ারী তানজিনা কলেজের ক্লাস শেষে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে কোন এক সময় খালাতো ভাই রিয়াজ উদ্দীনের সাথে চলে যায়। পুলিশ জানায়, মেয়ের পরিবার প্রথমে অপহরণে অভিযোগ দায়ের করলে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তারা পুলিশকে জানায়, তারা স্বইচ্ছায় বাড়ি থেকে চলেগেছে। তাদের মধ্যেপ্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন ধরে। পরিবারের সদস্যরা মেনে নেয়ায় তারা এ কাজ করেছে। পুলিশ আরো জানায়, তানজিনাকে অপহরণ করে ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবীর করেছে জানিয়ে থানা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করে। পরে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তারা জানায়। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রাজু আহমদের মধ্যস্থতায় এবং ছেলের ভগ্নিপতি দেলোয়ার হোসেন ও মেয়ের পিতার সম্মতিতে স্থানীয় কাজী ইয়াকুবকে ডেকে এনে এই প্রেমিক যুগলকে ৬ লক্ষ টাকার কাবিননামায় বিয়ে পড়িয়ে দেন। পরে প্রেমিক প্রেমিকা দুজনই কবুল বলেন। পরে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিও খাওয়া হয় বলে জানা গেছে। সূত্রে আরো জানা যায়, তানজিনার পিতা তার প্রতিপক্ষ সৎভাই জয়নাল আবেদীনকে তাদের পারিবারিক জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানোর জন্য অপহরণ ও ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করে বলে এর সত্যতা স্বীকার করেন থানার এ এস আই রাজু আহমদ।
Discussion about this post