সাইফুল, পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়ার বড়লিয়া ইউনিয়নের এলজিইডি কর্তৃক ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মৌলভীর হাট টু কর্তালা সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের ফের অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাইনা এন্টারপ্রাইজ। ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য গাজী রেজাউল করীম এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন সড়কটি সংস্কারে পর্যাপ্ত বিটুমিন ও কেরোসিন সহ আনুষাঙ্গিক পাথর না দিয়ে মনগড়া কাজ শেষ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এব্যাপারে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বার বার অনুরোধ করলেও টেকসই কোন কাজ করতে দেখা যায়নি। স্থানীয় একজন ব্যক্তি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের এসড়ক দিয়ে ১০ গ্রামের লক্ষাধিক জন সাধারন ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বুধপুরা বাজার ও মনসা হয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে। কিন্তু ঠিকাদার বিটুমিন ছাড়া শুধু মাত্র পাথর দিয়ে সড়কের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের ধারনা যে সড়কটির উন্নয়ন টেকসই হচ্ছেনা। আসন্ন ভরা বর্ষায় সড়কটি আবার পূর্বের মতো খানা-খন্দকে ভরে যাবে। মাহবুব আলী সওদাগর বলেন আমরা সড়কটি দিয়ে শুধু চলাচল নয় মালামাল ও আনা নেওয়া করি। বর্তমানে এ সড়কটি যেনতেন ভাবে সংস্কার হলে পুনরায় এটি বড় বড় গর্ত হয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়বে বলে মনে করি। বড়লিয়ার সন্তান চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য শহীদ উল আলম বলেন আমজুরহাট থেকে মৌলভীহাট পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার হয়েছিল এখনও বছর শেষ হয়নি। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে ১০/২০ ফুট দূরে দূরে এত বেশি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন কেন সাধারন মানুষ এবং স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে ও চলাচল করতে পারছেনা। বর্তমানে মৌলভীর হাট থেকে কর্তালা সড়কটি বিটুমিন ও অর্পযাপ্ত আনুষাঙ্গিক পাথর ও নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কটি সামনের বর্ষায় চলাচল অযোগ্য হবে বলে আমার ধারনা। আমি যথাযথ নিয়ম মোতাবেক কাজ করার দাবি জানাচ্ছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাইনা এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার আবুল খায়ের জনসাধারনের আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন আমরা নিয়ম মোতাবেক কাজ করছি। পটিয়া এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী জাকের হোসাইন বলেন, মৌলভী হাট থেকে কর্তালা বৌদ্ধ বিহার পর্যন্ত সড়কটি ২৫ এম এম ডেন্স কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ম্যাকাডম সাপ্লাইয়ে ১০ লক্ষ টাকা সহ মোট বরাদ্দ ৩৭ লক্ষ টাকা। এখানে কেরোসিন ৫০% বিটুমিন ১০০% দ্বারা প্রাইম কোট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখানে ১৬ এম এম ষ্টোন ২০%,১২ এম এম ২৫%, ৬ এম এম ৩৫% ও ডাষ্ট ২০% সমন্বয় করা হচ্ছে এবং তা ঠিকমত ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা আমরা প্রতিনিয়ত তদারকি করছি। উপজেলা প্রকৌশলী জিয়াউল হক দুলাল বলেন আমরা নিয়ম মত কাজ হচ্ছে কিনা তা তদারকি করছি। তবে এ কাজে কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post