লালমনিরহাট আদালত ও হাতীবান্ধা থানা সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বেলাল হোসেনের মেয়ে আয়েশা খাতুনের বিয়ে হয় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মেছের আলীর সঙ্গে।
বিয়ের এক বছর না পেরুতেই ১৯৯৯ সালের ২৩ জুন স্বামী মেছের আলী স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ির একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। সেখানে সাড়ে তিন বছর থাকার পর আয়েশা কৌশলে বাংলাদেশে তার বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসেন। এরপর ২০০৫ সালের ৬ এপ্রিল এ ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল জজ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদ-াদেশ প্রদান করেন। আয়েশার স্বামী মেছের আলী পলাতক থাকলেও আদালত এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, স্বামী মেছের আলীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এ রায় কার্যকর হবে।
লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আকমল হোসেন জানান, বর্তমানে মেছের আলী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে সাজা কার্যকর শুরু হবে।
Discussion about this post