ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, শিশু পার্ক, চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে শনিবার বন্ধু-বান্ধব পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ উপভোগ করছে ঈদ আনন্দ। তবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।
দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যেন সৃষ্টি হয়েছে মানুষের স্রোত। নগরী এমনকি গ্রামগঞ্জ থেকেও মানুষ ভিড় সমুদ্র সৈকতে।
বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ, শিশুদের সমুদ্র সৈকতের বালুচরে হাঁটাহাঁটি, ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী, ফুচকা-চটপটিসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে সময় কাটাতে দেখা গেছে। আড্ডা, গান, সেলফিতে মুখর দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদের।
নগরীর এনায়েত বাজার এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন সিকদার পরিবার পরিজন নিয়ে সৈকতে বেড়াতে যান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এমনিতে কোথাও যাওয়া খুব কম হয়।
ঈদের ছুটি। তাই বেড়ানোর একটি সুযোগ পেলাম। তাই সবাইকে নিয়ে এখানে আসা।
তবে সৈকতগামী মানুষকে যানবাহনের অভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। বিশেষত ফেরার সময় সাধারণ লোকজন গাড়ির সংকটে পড়েন। ঈদ উপলক্ষে নগরীতে এমনিতেই যানবাহন কম, গণপরিবহন নেই বলেলেই চলে। হাতেগোণা যেসব সিএনজি অটোরিক্সা চলেছে, সেগুলো ইচ্ছেমত ভাড়া হাঁকিয়েছে।
দুপুরের পর থেকে ভিড় দেখা গেছে নগরের ফয়’স লেকের কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক, সিওয়ার্ল্ড, চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদ শিশু পার্ক ও কাজীর দেউড়ি শিশু পার্কে।
ফয়’স লেকে বিভিন্ন রাইডে চড়ার জন্য শিশু কিশোর তরুণ তরুণীর ছিল দীর্ঘ লাইন। একই জায়গায়র ওয়াটার ওয়ার্ল্ড দাপিয়ে বেড়িয়েছে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষেরা। এছাড়া ফয়’স লেকে নৌকাযোগে ঘুরোঘুরিও করেছে তরুণ তরুণীরা।
কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্কের উপ-ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, সকাল থেকে লোকজন আসছিল। তবে কম। বিকেল থেকে মানুষের ঢল নেমেছে।
ঈদ উপলক্ষে পার্ক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ম্যাজিক শো ও গিফটের আয়োজন করেছে বলেও জানান তিনি।
শিশু পার্কগুলোও ছিল সব ধরণের মানুষের পদচারণায় মুখরিত। এছাড়া চিড়িয়াখানায় ছিল উপচে পড়া ভিড়।
Discussion about this post