ডেস্ক রিপোর্ট: তদন্ত করতে গিয়ে চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণির সঙ্গে পরিচয়। সেই সূত্র ধরে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। এরপর নিয়মিত পরীমণির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা। মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে বের হতেন দুজনে। বিবাহিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন অবিবাহিত হিসেবে। সর্বশেষ পরীমণি সেই পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় এসে অবস্থান করেন প্রায় ১৮ ঘণ্টা। পরীমণি গ্রেফতারের পর অকপটে স্বীকার করেছেন সবকিছু। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে পুলিশে। আলোচিত এই কর্মকর্তার নাম গোলাম সাকলায়েন শিথিল। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে কর্মরত তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শুক্রবার রাত ১১ টায় এডিসি গোলাম সাকলায়েন সরাসরি পরীমনির সঙ্গে পরিচয় বা সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেননি।
তিনি বলেন, পরীমনির দায়েকৃত মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। এখন এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।
ফলে শুধু পরীমনি কেন- অন্য যে কারো সঙ্গে চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কেউ অপপ্রচারে লিপ্ত হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
সূত্র বলছে, বোট ক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পরীর সঙ্গে সাকলায়েনের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তবে বিষয়টি এতদিন অজ্ঞাত কারণে গোপন ছিল। র্যাবের হাতে পরী গ্রেফতারের পর ডিবি কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সামনে এলো।
এ নিয়ে গোয়েন্দা চ্যানেলে নানা ধরনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। তাদেরকে হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একত্রে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
জানা যায়, সাকলায়েন এবং পরীর মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে কেউ কেউ মনে করেন বিশেষ কোনো সম্পর্ক না থাকলেও মামলার বাদীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া নৈতিকভাবে ঠিক হয়নি।
শুক্রবার দিনভর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে পক্ষে-বিপক্ষে এ নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বিষয়টিকে অপপ্রচার বলেও মনে করেন।
তবে একজন কর্মকর্তা বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে সাকলায়েন এবং পরীমনিকে একই গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায়। পহেলা আগস্ট সকালে সাকলায়েনের রমনা এলাকার সরকারি বাসার সামনে পরীমনির ব্যবহৃত হ্যারিয়ার জিপ পার্ক করা ছিল। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-৯৬৫৩।
এ সময় পরীমনির গাড়ি চালক নাজির হোসেন গাড়িতে বসেছিলেন। গোলাম সাকলায়েন রাজারবাগ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের ৯/সি ফ্ল্যাটে থাকেন।
Discussion about this post