জাতীয় পার্টির নেতা যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের এসব অভিযোগ আনা হয়েছিল আসামিদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১০ আগস্ট) তাদের মামলার রায়ে অভিযোগগুলো প্রমাণের কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সকাল দশটা ৫৫ মিনিট থেকে ৭৬৮ পৃষ্ঠার এ রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনাচ্ছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও মোহাম্মদ সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের প্রথম অংশ পড়ছেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম। সেখানে বলা হয়, সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পরে রায়ের মূল অংশ সাজা ঘোষণা করবেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক।
রায় শোনাতে সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেনকে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় আনা হয়েছে। পলাতক বাকি ছয় আসামি হচ্ছেন- মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।
সকাল সাড়ে দশটার পরে সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেনকে গাজীপুরের কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে ট্রাইব্যুনালে এনে রাখা হয় হাজতখানায়। পরে তোলা হয় আসামির কাঠগড়ায়।
নয় আসামির মধ্যে মো. লুৎফর মোড়ল গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় এর আগে তাকে আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post