পাকিস্তানে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নতুন নিয়োগ পাওয়া পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা কর্মী।
গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বেলুচিস্তান পুলিশ কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির
বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি জানিয়েছেন, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত তিনজন আত্মঘাতী সন্ত্রাসী ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি ডরমিটোরিতে হামলা চালায়। এ সময় সদ্য পুলিশে যোগ দেয়া প্রায় ৭০০ জন ক্যাডেট পুলিশ একাডেমিতে ছিলেন। তারা প্রথমে ডরমিটোরির ওয়াচ টাওয়ারের সেন্ট্রিকে গুলি করে। পরে দুই আত্মঘাতী হামলাকারী ভেতরে ঢুকে বিস্ফোরণে নিজেদের উড়িয়ে দিলে অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
তৃতীয় হামলাকারীকে পাকিস্তান ফ্রন্টিয়ার ক্রপসের (এফসি) জওয়ানরা গুলি করে হত্যা করে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘মুখোশধারী তিন ব্যক্তিকে দেখতে পাই আমি। তাদের কাছে কালাশনিকোভ রাইফেল ছিল। তারা গুলি করতে করতে ডরমিটোরিতে ঢুকে পড়ে, তবে একটি দেওয়ালের ওপাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমি রক্ষা পেয়েছি।’
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এই হামলা চলতি বছর পাকিস্তানে চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে জানিয়েছেন দেশটির উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-জাংভি এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা বেলুচিস্তান সেনাবাহিনীর।
Discussion about this post