অপরাধীদের ফাঁসি দেয়ার নিরিখে বিশ্বে পাঁচ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। প্রতি সপ্তাহে দেশটিতে তিনজনের বেশি মানুষের ফাঁসি হয়। পাকিস্তানে সব থেকে বেশি ফাঁসি হয় জঙ্গি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে।
গত বৃহস্পতিবার ‘জাস্টিস প্রজেক্ট পাকিস্তান’ নামক লাহৌরের এক মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ওই রিপোর্টের তালিকায় চীন, ইরান, সৌদি আরব, ইরাকের পরই পাকিস্তানের নাম রয়েছে।
প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫-র ডিসেম্বর থেকে ২০১৭-র মে মাসের মধ্যে মোট ৪৬৫ জনের ফাঁসি হয়েছে পাকিস্তানে। গত ৩০ মাসে পাক অধিকৃত পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশে সব থেকে বেশি ফাঁসি দেয়া হয়েছে। শতকরা হিসেবে এই দুই প্রদেশে মোট ৮৩ শতাংশের ফাঁসি হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, শুধু সিন্ধু প্রদেশে ৭৮ শতাংশের ফাঁসি দেয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে বালুচিস্তান এবং পাক পাঞ্জাবের স্থান।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ১৯৪৭ থেকে বর্তমান পর্যন্ত পাকিস্তানে মোট আট হাজার দুইশ` জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। যদিও এর মধ্যে ২০০৮ থেকে ফাঁসির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে তৎকালীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। কিন্তু, ২০১৪-র ১৭ ডিসেম্বরে পেশোয়ারের স্কুলে জঙ্গি হামলার পর ফাঁসির উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার দাবিতে সরব হয় বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। অবশেষে, ২০১৫-র ডিসেম্বর থেকে ফাঁসি রদের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হয়।
‘জাস্টিস প্রজেক্ট পাকিস্তান’-এর ডিরেক্টর সারাহ বেলাল অবশ্য অভিযোগ করেছেন, দেশে অধিকাংশ ফাঁসি কাযর্কর করা হয় রাজনৈতিক উদ্দেশে। প্রকৃত দোষী, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তরা অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় পেয়ে যায়।
Discussion about this post