‘পাকিস্তানপন্থী’ কথা বলার অভিযোগে ভারতীয় অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রামিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছে কর্ণাটকের আদালতে। ‘পাকিস্তান নরক নয়’—এই মন্তব্যের জেরে সোমবার রামিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন কে ভিত্তল গৌড়া নামে এক আইনজীবী।
দিন কয়েক আগে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানে যাওয়া মানে নরকে যাওয়া।’ সার্কের তরুণ সাংসদদের সম্মেলন উপলক্ষে পাকিস্তান সফর করে আসা রামিয়া এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, পাকিস্তান নরক নয়। ওখানকার মানুষ আমাদের মতোই। তাঁরা আমাদের সঙ্গে খুবই ভাল ব্যবহার করেন।
আর এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু করে দিয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-সহ সংঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও রামিয়াকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে তুলোধোনা করা শুরু হয়। সোমবার তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, রামিয়া দেশকে অপমান করেছেন এবং দেশবাসীর মধ্যে পাকিস্তানপন্থি জিগির তুলছেন। ২৭ আগস্ট এই মামলার শুনানি হবে।
রামিয়া অবশ্য এই সব সমালোচনা বা মামলা নিয়ে আদৌ বিচলিত নন। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। কেন না, তিনি যা বলেছেন তা কোনও ভাবেই দেশের বিরুদ্ধে যাওয়া নয়। ৩৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী কংগ্রেসে যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৩ সালে কর্ণাটকের মাণ্ড্য লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের হয়ে জয় লাভ করেন। সেই সময় তিনিই ছিলেন দেশের তরুণতম সাংসদ। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে একই কেন্দ্র থেকে লড়ে অবশ্য হেরে যান তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার।
Discussion about this post