বিডি ল নিউজঃ আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন এই ম্যাচে যেন সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। ওই ম্যাচে সেট হতে একটু সময় নিয়েছিলেন। এবার মেরে খেলতে খেলতেই নিজেকে উইকেটে সেট করে নিয়েছেন তামিম। আর তার মার খেয়ে দিশেহারাই হয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারেই তাই চলে আসে ৮৩ রান। এই ঝড়ের সামনে কোনো কিছুকেই কিছু মনে হচ্ছিলো না। রাহাত আলি, সাঈদ আজমল, ওয়াহাব রিয়াজরা বুঝেছেন তামিমের নিজের মতো খেলার দিনের ত্রাস। এই তিনের প্রত্যেকের একেক ওভারে তিনটি করে বাউন্ডারি মেরেছেন তামিম। এভাবেই ৩১ বলে ৫০ রান করেছেন। ১২টি চারের মার তাতে। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। আর তার এই ৬ষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ওপর ভর করে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো কোনো ক্রিকেট সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ।
২৪০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল ১১৬ রানে অপরাজিত থাকে। আর মুশফিকুর রহিম ৬৫ রান করেন। এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের অষ্টম ও নিজের প্রথম ওভারেই সফরকারী শিবিরে আঘাত হানেন রুবেল হোসেন। সরফরাজ আহমেদকে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করেন এই পেসার। ১১ বলে ৭ রান করেন সরফরাজ। ইনিংসের পরের ওভারেই মোহাম্মদ হাফিজকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান স্পিনার আরাফাত সানি। প্রথম ম্যাচে ৪ রান করা হাফিজ এদিন ডাক মারেন।
এরপর ইনিংসের ১৬ ও ১৭তম ওভারে জোড়া অাঘাত হানেন সাকিব আল হাসান ও নাসির হোসেন। প্রথমে আজহার আলীকে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করান সাকিব। ৬০ বলে ৫ চারে ৩৬ রান করেন আজহার। আর পরের ওভারে ফাওয়াদ আলমকে বোল্ড করেন নাসির। ৬ বল মোকাবিলা করে ডাক মারেন ফাওয়াদ।
সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন প্রথম ওয়ানডেতে দ্যুতি ছড়ানো মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২২ বল মোকাবিলা করে ২টি চারের সাহায্যে ১৩ রান করতে সক্ষম হন রিজওয়ান। স্বাগতিক বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ২৪০ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তান। দিবারাত্রির এই ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করে অপরাজিত থেকেছেন সাদ নাসিম। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ।
Discussion about this post