দেশের বৃহত্তম সেচ্ছাসেবী সংগঠন “ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ” এর চট্রগ্রাম মেডিক্যাল ইউনিটের উদ্যোগে ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকালবেলা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে বসবাসরত পাঁচ শতাধিক বস্তিবাসী ও গরীব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয় নিকটস্থ মেরিন রোড ড্রাইভ ব্রিজঘাট এলাকায়। ভ্রাম্যমাণ বিশটি বুথ স্থাপন করে সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে বারটার দিকে সমাপ্ত হয়। উক্ত মেডিক্যাল ক্যাম্পেনিংয়ে আগতদের জন্য ফ্রি ব্লাডগ্রুপ ও রক্তচাপ পরীক্ষা, ডায়বেটিস পরীক্ষা, শিশু ও নারীদের জন্য গাইনী পরামর্শ সহ বিশেষজ্ঞদের ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানের প্রদান করা হয়।
এই ক্যাম্পিংয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও ইউএসটিসি মেডিক্যাল কলেজ “ইয়ুথ ভয়েস বাংলাদেশ” শাখার প্রায় অর্ধশতাধিক দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবীশ ডাক্তার অংশগ্রহণ করে। এছাড়া ভলান্টিয়ার হিসেবে ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরসহ ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী।
কর্মসূচী তে অংশগ্রহণকারী ইউএসটিসির বিদেশী শিক্ষার্থীদের টীম লিডার ( শ্রীলংকান) মারওয়ান বলেন,” গত তিনবছর ধরে ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ এ কাজ করছি। তারই ধারাবাহিতায় আজকের কর্মসূচীতে এসেছি চল্লিশ জন মেডিকেল স্টুডেন্ট নিয়ে। একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট হিসেবে দরিদ্র বস্তিবাসীদের জন্য এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত।
ইয়ুথ ভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার বলেন, ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ লিডারশীপ ও সচেতনতা দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে মূলত। এই মেডিকেল ক্যাম্পাইনিং হচ্ছে “সচেতনতা প্রোগ্রামে অন্তভূক্ত।মাসখানেক আগে এই জায়গায় থেকে প্রায় পাচঁশত বস্তিবাসী কে শীতবস্ত্র বিতরন করি। তখন বস্তিবাসীদের বাস্তব চিত্র দেখে সিদ্বান্ত নিই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করার। আমাদের মেডিকেল টীমের আগ্রহ ও সহযোগীতায় আজকে কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ইয়ুথ ভয়েস সমাজ সেবাকে বাংলাদেশের দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মেধাবী তরুণদের নিয়ে কাজ করে আসছে। মেডিক্যাল ইউনিটের শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা তেমনই একটি মহতী উদ্যোগ। এবং খুশীর ব্যাপার হল এই মেডিকেল ক্যাম্পাইনে বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী শ্রীলংকা, নেপাল ও মালদ্বীপের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ।
তিনিঁ আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, ইয়ুথ ভয়েসের এ মহতী উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে দেশের যুব সম্প্রদায় সমাজসেবায় এগিয়ে আসবে। সমাজের অবহেলিত পশ্চাৎপদ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সার্বিক মানউন্নয়নে কাজ করবে। পাশাপাশি ক্যারীয়ারের জন্য নিজেদেরকে নেতৃত্বগুণ ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবে।
Discussion about this post