নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক, মুদ্রাপাচারসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার শামীমা নূর পাপিয়ার বিষয়ে মনগড়া তথ্য প্রচার না করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
পাপিয়া, তার স্বামী ও দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বর্ণনা দিয়ে এতে বলা হয়, অভিযুক্তদেরকে ডিবি হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিচার্য বিষয়সমূহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, সমগ্র বিষয় এখনও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি। কিন্তু উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা না করে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করছে। তদন্তে প্রাপ্ত কথিত তথ্য হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম এবং পরিচয় প্রকাশ ও প্রচার করছে; যার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা নেই কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্য নেই।
এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তদের সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রচারের ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপর মনস্তাত্বিক ও সামাজিক চাপ তৈরি হয়; যার ফলে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ব্যাহত এবং বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট সবাইকে পেশাদারি ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশত্যাগের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া, তার স্বামী সুমন এবং তাদের দুই সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবাকে গ্রেপ্তার র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের আবাসস্থলে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা কার্ড ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব।
গ্রেপ্তারের পর যুব মহিলা লীগ থেকে পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। আর জাল টাকা উদ্ধার, অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিনটি মামলায় পাপিয়া ও সুমনের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে রিমান্ড দেন আদালত।
Discussion about this post