পাবনা প্রতিনিধি: আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া স্থানীয় দৈনিক জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা শহরের রাধানগরে নিজবাসার সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় বাসার সামনে পৌঁছামাত্র পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা সুবর্ণা নদীকে এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ৩০ বছর বয়সী সুর্বণা নদীর ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
সুবর্ণা নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর মেয়ে। তার ৫/৬ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
সুবর্ণা নদীর বোন চম্পা জানান, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে তিন-চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুবর্ণার। বছরখানেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
এর পর সুবর্ণা পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন।
গতকাল এ মামলার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ছিল। এতে সুবর্ণা তার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও উপস্থাপন করেন। চম্পার দাবি, মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুবর্ণাকে হত্যা করেছে।
Discussion about this post