কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের পালগ্রাম ঈদগাহ থেকে মুকন্দপুর পর্যন্ত কাচাঁ রাস্থা ও আমতলা বাজার তিলাশিজুরা ভায়া নর্তন ভবানীপুর রাস্থার বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। দুই এলাকার প্রায় তিন সহস্রাধিকেরও বেশি মানুষের যাতায়াতের এই রাস্থা গুলো বেহাল হয়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে সবাইকে। এই সকল রাস্থা দিয়ে প্রতিদিন অশক্ষ্য যানবাহন চলাচল করলেও বৃষ্টির দিন প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে এই দু’টি রাস্থাটি।
জানা যায়, এই দু’টি রাস্থা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন চার শতাধিক শিক্ষার্থীসহ তিন সহস্রাধিকেরও বেশি জনসাধারণ। বৃষ্টির দিন চরম কষ্টে কাদা পেড়িয়ে গন্তব্য স্থানে যেতে হয় সবাইকে। কাদার সাথে যুদ্ধ করে চরম ঝুকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা যায়, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ, মাষ্টার শরাফত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, চৌধুরী বাজার জি এস কুতুবশাহ আলিম মাদ্রাসা, শাহ জালাল উচ্চ বিদ্যালয়, বাবনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা, নর্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিলাশিজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। রাস্থা গুলোর বিভিন্ন টার্নিং পয়েন্টে হয়েছে বড় বড় গর্ত। যা অনেক বড় ধরনের বিপদ বয়ে আনতে পারে।
নর্তন এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আক্তার উদ্দিন জানান, অত্বান্ত গুরুত্বপূর্ন এই দু’টি রাস্থার জন্য খুব শীর্ঘই বিশেষ ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রকল্প বরাদ্ব দেওয়ার জন্য এলাকাবাসির পক্ষে তিনি দাবি জানান।
পালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে বৃষ্টির দিন আমাদের চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। গত কিছুদিন আগে আমার ভাবি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও আমাদেরকে হিমসিম খেতে হয়েছে। কোন প্রকার গাড়ি নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারিনি। দু’জন মিলে তাকে কাধে তুলে কুলাউড়া- রবিরবাজার সড়ক পর্যন্ত নিয়ে আসার পর গাড়িতে তুলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমি এলাকাসীর পক্ষথেকে সরকারকে রাস্থাটি পাকাকরন করার জন্য দাবি জানাই।
মুকন্দপুর এলাকার শিক্ষার্থী মো. ফজলুর রহমান জানান, রাস্থাটি কাচাঁ থাকায় বৃষ্টির দিন চরম কষ্টের মধ্যে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। অনেক দিন বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় কাদার মধ্যে স্লীপ করে পড়েছি।
অনেকের মুখে রসিকতার ছলে বলতে শোনা যায়, “বৃষ্টির পর রাস্তা দেখে মনে হয় সেচ দেওয়া হয়ে গেছে এখন শুধু ধান রুপন করা বাকি।”
৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আনু মিয়া জানান, পালগ্রাম- মুকুন্দপুর রাস্থাটি পাকাকরন না হওয়ায় এলাকার জনসাধারন অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। রাস্থাটির জন্য সরকার থেকে কোন অনুদান না আসায় আমরা কোন রকম উদ্যোগ নিতে পারছি না। তিনি আর জানান, আশা করা যায় কিছু দিনের মধ্যে রাস্থাটি পাকাকরন করার জন্য একটা অনুদান আসবে।
৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. তালেব আলী জানান, আমরা নর্তন- ভবানীপুর রাস্তাটি পাকা করণ করে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করছি এমন কি আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব মাননীয় এম.পি মহোদয়ের কাছেও প্রায় আড়াই বৎসর আগে এই রাস্তাসহ আর দুইটি রাস্তার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো এর কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে রাউৎগাঁও ইউ.পি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল জানান, রাস্তাগুলো ভাঙ্গনের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতাযাতের অনুপযোগী হয়েছে বলে তিনি অবগত আছেন। এম.পি’র কাছে লিখিত আবেদন করেছেন বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান, রাস্তাগুলোর পাকাকরন করার জন্য তার হাতে কোন বরাদ্ব না আসায় এর সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিতে পারছেন না।
Discussion about this post