বিডি ল নিউজঃ
শুধু কি ধরপাকড় আর গ্রেফতারের ভয়ে চট্টগ্রামে মাঠে নেই বিএনপি এমন প্রশ্নের ভিন্নমত জানান মাঠের নেতারা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র থাকায় মাঠে নেই বিএনপি। ‘চেইন অব কমান্ড’ না থাকায় সরকারবিরোধী কর্মসূচি চলছে ঢিলেঢালাভাবে। উত্তর ও দক্ষিণ মহানগরের অবস্থা যেন একই। উপজেলা শাখাগুলোতেও নেই স্বাভাবিক সক্রিয়তা। উপরন্তু আছে দীর্ঘদিনেও স্বীকৃতি না পাওয়ার চাপা ক্ষোভ। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শঙ্কাও। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কয়েকটি ফোনালাপ প্রকাশ পাওয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন ভীতি। অনেকটা চুপিসারে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার দলীয় চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার সঙ্গে ফোনালাপে সাংগঠনিক ব্যাখ্যা দিলেও তিনি রয়ে গেছেন আড়ালেই। পালিয়ে রয়েছেন অন্য শীর্ষ নেতারাও। মহানগর সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু আর সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাতকে দিনের পর দিন মুঠোফোনেও না পেয়ে হতাশ মাঠের কর্মীরা। বেগম জিয়ার ফোনালাপ প্রচার হওয়ার পর একবারেই লাপাত্তা তারেক জিয়ার একনিষ্ঠ ডা. শাহাদাত। এদিকে বেগম জিয়ার সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে গোলাম আকবর খোন্দকারের মন্তব্য বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডিন ড. সেকান্দার চৌধুরী বলেছেন, ‘কদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল আমি মরিনি।’
Discussion about this post