বিবাহ সনদ বা স্বামীর সঙ্গে কোনো যৌথ হলফনামা না থাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ত্রীকে পাসপোর্ট করতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন স্ত্রী যশোদাবেন মোদি সম্প্রতি গুজরাটের স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে তার আবেদনপত্রকে অসম্পূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় পাসপোর্ট কর্মকর্তা জেডএ খান বলেন, ‘বিবাহ সনদ বা স্বামীর সঙ্গে যৌথ হলফনামা, যে দলিলটি পাসপোর্টের জন্য আবশ্যক, তা না থাকায় আমরা এ আবেদন গ্রহণ করিনি।’ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যশোদাবেন তার ভাই অশোক মোদির সঙ্গে উত্তর গুজরাটের এক গ্রামে বাস করেন। তিনি তার বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। অশোক মোদি বলেন, ‘আমাদের অনেক পারিবারিক বন্ধু বিদেশে থাকেন। তারা যশোদাবেনের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার কারণেই তিনি পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ওই আবেদন খারিজ করা হয়েছে।’ যশোদাবেন এর আগে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন এবং ভারত সরকারের কাছে নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু মেহসানার পুলিশ সুপার নিরাপত্তা বিষয়ক কোনো তথ্য দিতে অস্বীকার করেন এবং তা তথ্য অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না বলেও দাবি করেন। উল্লেখ্য, গত বছর অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীতা ফরমে নরেন্দ্র মোদি যশোদাবেন মোদিকে তার স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি বিপুল ভোটে জয়লাভের পর যশোদাবেনের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক চারজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়।
Discussion about this post