নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) বহিষ্কৃত ১৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব করেছেন আদালত।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
১৯ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনাম নামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনটি ২১ নভেম্বর আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল আদালতে বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বয়স ১০-১১ বছর। এ বয়সের একটি শিশুকে বহিষ্কার করা তার মানসিক জগতে প্রভাব ফেলবে। তাদের বহিষ্কার করা উচিত হয়নি। তাদের বহিষ্কার না করে অন্য কোনও উপায় অবলম্বন করা যেতে পারতো।
পরে ওই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে পিইসি ১৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কৃত ১৫ পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ চার জনকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’র বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Discussion about this post