বিডিলনিউজঃ ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারী ঘটে যাওয়া পিলখানা হত্যাকান্ড জাতীর জন্য ন্যাক্কারজনক এক দুঃস্বপ্নের অধ্যায়। এই হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের মামলার রায় আজ ঘোষনা করা হবে পুরান ঢাকার বখশী বাজারে অস্থায়ী আদালতে। চকবাজার থানাধীন বখশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অস্থায়ি আদালত হিসেবে ব্যবহিত হয়ে আসছে।
এ বর্বর হত্যাকান্ড মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টু ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ মোট আসামির সংখ্যা ৮৫০ জন। তাদের মধ্যে ২০জন পলাতক। ৪জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। জামিনে আছে আরো ১৩জন। আসামিদের মধ্যে ডিএডি ৬ জন। এছাড়াও আসামিদের মধ্যে সুবেদার ৪৪জন, নায়েক ৬০জন, ল্যান্স নায়েক ৬৮জন, সিপাহী ৫০৪জন, পাচক ১৪জন ও বিএম ১জন। পিয়ন ১জন, রাখাল ২জন, সুইপার ১৮জন, ওয়ার্ডবয় ১জন, কার্পেন্টার ২জন। এদের মধ্যে থেকে ৮২৬জন আসামির উপস্থিতিতে বহুল আলচিত এই মামলার রায় ঘোষনা করা হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারী পিলখানা ট্রাজেডিতে ৫৭সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪জন নিহত হন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত হন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, ২৫ তারিখ সকালে পিলখানা দরবার হলে তার ওপরই প্রথম আক্রমণ হয়।
এ ঘটনায় লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন ততকালীন পুলিশ পরিদর্শক নবজ্যোতি খিসা। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।
এ রায় উপলক্ষে আদালত এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। সারেজমিনে গিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কড়া সতর্কাবস্থায় দেখা যায়। পুর এলাকাটিকে সিসিটিভি লাগানো ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, গোয়েন্দাবাহিনীর সদস্যসহ স্পেশাল মোবাইল টহল দলও তৎপর রয়েছে।
আসামির সংখ্যা বিবেচনায় এটি সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা। এ হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করবেন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান।
Discussion about this post