বিডি ল নিউজঃ
ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। হঠাৎ ছেলের মৃত্যুতে তিনি শোকে মুহ্যমান। কোকোর মৃত্যুর খবরে খালদা জিয়ার আত্মীয়দের কয়েকজন তার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়েছেন। সেখানে খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হাসপাতালের নেয়ার পথে মারা যান। কোকোর মরদেহ বাংলাদেশের আনা হবে নাকি মালয়েশিয়াতেই তার দাফন সম্পন্ন হবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কোকোর লাশ বাংলাদেশে আনা হবে কি হবে না এ ব্যাপারে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও কোকোর স্ত্রী মিলেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কোকোর লাশ বাংলাদেশে আনার বিষয়ে এখনো ঠিক হয়নি। পুত্রশোকে মুহ্যমান বেগম জিয়া একটু স্বাভাবিক হয়ে আসলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে ভাইয়ের মৃত্যুতে লন্ডনে ভেঙে পড়েছেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তিনি। কোকোর লাশ বাংলাদেশে আনা হলে তারেক রহমান দেশে আসতে পারবেন না।
খালেদা জিয়াকে দেখানোর জন্য লাশ তার গুলশান কার্যালয়ে নেয়া হবে। সেখান থেকেই ছেলেকে শেষ বিদায় দেবেন তিনি। এদিকে তার লাশ বাংলাদেশে আনা না হলে তাকে মালয়েশিয়াতেও দাফন করা হতে পারে।
তবে সবকিছু নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার ওপর। তারেক রহমান লন্ডন থেকে মালয়েশিয়াতে যেতে পারেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন তিনি। সেখানে দাফন হলে বেগম খালেদা জিয়া মালয়েশিয়াতে যাবেন কিনা এটাও এখনো ঠিক হয়নি।
সূত্র মতে, তিনি ছেলের লাশ বাংলাদেশে না আনার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে শেষবারের মতো দেখতে মালয়েশিয়াতে যেতে হবে। সেটা করলে অবরোধ ও হরতাল তুলে নিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে বিএনপির আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য আপাতত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তও নাও নিতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের অনপুস্থিতিতেই ভাইয়ের লাশের দাফন সম্পন্ন হতে পারে। তার মাকে শেষবারের মত লাশ দেখানোর জন্য দেশে আনা হতে পারে।
আরাফাত রহমান কোকো বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান। বিষয়টি বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আরাফাত রহমান কোকোকে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। তার দাফন ও জানাজার বিষয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর সবাইকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান কোকো।
থাইল্যান্ড যাওয়ার পর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান তিনি। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেই অবস্থান করছিলেন।
Discussion about this post