নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী পুরান ঢাকায় পঞ্চম দিনের মতো আবাসিক ভবনের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা বন্ধে অভিযানে নেমেছে ডিএসসিসির নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স। অভিযানে রাসায়নিক গুদাম ও কারখানার সন্ধান পেয়ে মোট ৮১টি বাড়ির গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অভিযান ১ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শরীফ আহমেদের নেতৃত্বে চকবাজার, বকশিবাজার, উর্দু রোডে সকাল সোয়া ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অন্যদিকে বিগত ৫ দিনে যেসব বাড়ির পানি, বিদ্যুৎ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল- তার মধ্যে ১৫টি কারখানার মালিক পুনরায় পরিষেবা সংযোগ প্রদানের জন্য ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বরাবর আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে টাস্কফোর্স কর্তৃক যাচাই করে ইতোমধ্যে ৮টি কারখানার পরিষেবা পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বকশিবাজারের বাসিন্দা হারুন মোল্লাহ বলেন, ঘনবসতি এলাকায় যেসব বাড়িতে কেমিক্যালের কারখানা আছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হোক। প্লাস্টিক কারখানাগুলো উঠিয়ে দিতে হবে। মানুষের জীবনের থেকে মূল্যবান হতে পারেনা এই সব কারখানা।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শরীফ আহমেদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, জনগণের জীবন বাঁচানোর জন্য আমাদের এই অভিযান। আমরা মানুষের জীবনে দুর্ভোগ বাড়াতে চাই না। আজ ৫টি বাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউন, প্লাস্টিক তৈরির উপাদান পাওয়া গেছে। বাড়িগুলোর ইউটিলিটি সার্ভিস ডিসকানেক্ট করা হয়েছে। আর অন্য ৩টি বাড়িতে গিয়ে দেখলাম তারা কারখানা সরিয়ে নিয়েছে। সরকার ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ডাকে সাড়া দিয়ে কারখানা খালি করে ফেলছে। আমি বলবো এটা আমাদের একটা সাফল্য। আমাদের অভিযান এপ্রিলের ১ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার প্রশাসক সানজিদা পারভীন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আব্দুল্লাহ আজিজ প্রমুখ।
Discussion about this post