এখন থেকে পুলিশের মতোই অপরাধ তদন্ত ও আইনী ক্ষমতা পেতে যাচ্ছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। শুল্ক আইনের কোনো ব্যতয় ঘটলেই পুলিশের ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন তারা।
আর এজন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর বা এসআই এর মতো আইনী প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে এনবিআর অফিসাররা।
জানা গেছে, এই লক্ষ্যে গত ২ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপিত অর্থ বিল ২০১৬ এর মাধ্যমে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এ নতুন ধারা যুক্ত করেছে সরকার।
ওই ধারায় বলা হয়েছে, একজন শুল্ক কর্মকর্তা এই আইন অনুযায়ী তদন্ত বা অনুসন্ধানকালে পুলিশের এসআই বা সাব ইন্সপেক্টরের যেকোনো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এমনকি ১৮৯৮ সালের ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এবিষয়ে এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিদ্যমান আইনে পুলিশের মতো ক্ষমতা প্রয়োগের স্পষ্ট কোনো বিধান নেই। তবে শুল্ক কর্মকর্তাদেরকে এই আইনে পরোক্ষভাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবং অপরাধ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তাই এখন থেকে শুল্ক আইন ভঙ্গ হলেই শুল্ক কর্মকর্তারা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ১৮৯৮ এর অধীনে অপরাধ অনুসন্ধান, তদন্ত, গ্রেপ্তার এবং অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, শুল্ক আইনে ৯৮ রকমের অপরাধ সংঘটন বা আইন ভঙ্গের সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে শুল্ক কর্মকর্তারা এই ৯৮ রকমের অপরাধের তদন্ত, গ্রেপ্তার ও আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
সেই সঙ্গে শুল্ক হারের তথ্য গোপন করা, করফাঁকি দেওয়ার লক্ষ্যে পণ্যের মূল্য কম বা বেশি দেখানো, পণ্যের পরিমাণ, গুণগতমান এবং ধরণ বা প্রকৃতি বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া, আমদানি বা রপ্তানিকালে পণ্যের উৎপাদন এলাকা গোপন করা, জালিয়াতি, পাচার ও নিষিদ্ধ পণ্য যেমন-তামাক, নেশাদ্রব্য, ড্রাগ, স্বর্ণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট মুদ্রাপাচার ইত্যাদি অপরাধে জড়িত যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে শুল্ক কর্মকর্তারা।
Discussion about this post