নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও রাজবাড়ী সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাতে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া থানা পুলিশ জানায়, টোবাকো কোম্পানির ১৮ লাখ টাকা ছিনতাইকালে খোকন সূত্রধর (২৫) ধরা পড়েন। সোমবার রাত ৩টার দিকে তার দেয়া তথ্যমতে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে আখাউড়া রেলওয়ে তিতাস কেবিন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে তার সহযোগীরা বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিনি নিহত হন।
আখাউড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার জানান, নিহত খোকনের বিরুদ্ধে একটি চুরি ও একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল ভূঁইয়া জানান, একদল চরমপন্থি রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুড়া ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থান করছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় সাইদুলকে (৩২) উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানায়, নিহত সাইদুল পাবনা জেলা সদরের আটঘাটিয়া গ্রামের তেনুর ছেলে। `বন্দুকযুদ্ধ` চলাকালে আহত হয়েছেন রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক জিয়ারুল ইসলাম ও পুলিশ কনস্টেবল পঙ্কজ মণ্ডল। আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
Discussion about this post