যশোরে পুলিশের সঙ্গে অপহরণকারীদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। পরে ধস্তাধস্তিতে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৪ সদস্য এবং স্থানীয়দের গণপিটুনিতে ৩ অপহরণকারী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আককাস আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম ও ২ কনস্টেবল। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত অপহরণকারীরা হলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হাট যাদবপুর এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩২), একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রহমত আলী (২৬) ও উত্তর যাদবপুরের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩০)। তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ জানতে পারে ঝিকরগাছা থেকে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে যশোরের দিকে আনা হচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাটে অবস্থান নেয়।
এরপর অপহরণকারীদের প্রাইভেটকারটিকে থামতে সংকেত দিলেও তারা যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দিকে চলে যায়। পরে ওই প্রাইভেটকারটিকে ধাওয়া করে চুড়ামনকাঠি বাজার এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারীরা পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ৫-৬ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
পরে অপহরণকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে ওসি আককাস আলী ও এসআই শামীমসহ ৪ পুলিশ আহত হয়। বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশের মানুষ এসে ৩ অপহরণকারীকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
এদিকে, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে থেকে অপহৃত আব্দুল আজিজ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একটি শ্যুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
Discussion about this post