রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদের সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের তখনকার দুই নেতার জামিন হয়েছে।
তারা হলেন সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমান। সাব্বির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আশিক ছিলেন ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সাড়ে তিন মাস আগে গুলিস্তান পাতাল মার্কেট এলাকায় হকার উচ্ছেদের সময় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে থাকা সাব্বির ও আশিকের গুলি ছোড়ার ছবি প্রকাশ পেলে তাদের বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।
এই মামলায় প্রথমে জামিন নিলেও বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরফুজ্জামান আনসারীর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে দুজনকে কারাগারে পাঠান তিনি।
তিন দিন বাদে সাব্বির ও আশিক পুনরায় জামিনের আবেদন করলে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন দুজনকে জামিন দিয়ে দেন।
তাদের জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক।
আসামিরা আগে জামিনে ছিলেন এবং এর আগে স্বেচ্ছায় তারা আত্মসমর্পণ করেছিলেন- এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে আদালতে জামিন মঞ্জুর করে বলে আসামির আইনজীবীরা জানান।
ওই আদালতের পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই দুজনের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। পল্টন থানার একটি মামলায় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন রয়েছে।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের মধ্যে গোলাপী ফুলহাতা শার্ট পরিহিত ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের তখনকার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির রহমানকে রিভলবার উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।
সাব্বিরের পাশে নীল টি-শার্ট পরা ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকের হাতেও দেখা যায় পিস্তল।
সংবাদপত্রে ছবি আসার পর ছাত্রলীগ তাদের বহিষ্কার করলে ১ নভেম্বর শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক এই দুজনসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
পরে ১৭ নভেম্বর আশিক-সাব্বির ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছিলেন।
Discussion about this post