বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে দিল্লি পৌঁছে সরাসরি রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তিনি। সেখানে সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন ছোটবোন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।
প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানান, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জির বাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ তাল কাটরা রোডের ওই বাড়িতেই রাখা হয়েছে শুভ্রা মুখার্জির মরদেহ। পরে লোদি রোড ক্রেমেটোরিয়ামে আয়োজিত শেষকৃত্যে অংশ নেবেন।
আর শেষকৃত্যের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করারও কথা রয়েছে তার।
এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোয়া ৮টা) দিকে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ভিভআইপি ফ্লাইটটি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
দিল্লি থেকে টেলিফোনে হাইকমিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার এনামুল হক চৌধুরী একথা জানান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্যে অংশ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের হোটেল তাজ প্যালেসে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। দিনের পরবর্তী সময় হোটেলে অবস্থান করে স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ঢাকার সময় সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
Discussion about this post