নিজস্ব প্রতিবেদক
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের জুমগাও(খাসিয়া বাড়ী) গ্রামের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে স্থানীয় কিছু বখাটে দ্বারা ধর্ষণের পর কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে ধর্ষণকারীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে না পাড়ায় স্থানীয় কিছু কুচক্রীমহল মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের জন্য একই গ্রামের প্রতিবেশী উসমান আলীর ছেলে মোঃ আব্দুস ছাত্তারকে সুনির্দিষ্টভাবে ধর্ষণকারী বানানোর জন্য ধর্ষিত কিশোরীর পরিবারকে প্ররোচিত করেন।
পরে পরিবারের সদস্যরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে আব্দুস ছাত্তারের ছবি দেখিয়ে তার প্রতি লেলিয়ে দেয় ও তাহার নাম বলে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন । বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে না পাড়ায় ব্যর্থ হোন শালিসকারী ব্যক্তিবর্গ।
পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষথেকে বড় ভাই মঞ্জিল মিয়া বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী উসমান আলীর ছেলে মোঃ আব্দুস ছাত্তার এর উপর গত ১৬/০৫/২০২২ তারিখে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাগেছে ঐ বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীর বড় ভাই মঞ্জিল মিয়া এবং তাহার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন একত্রে মিলিয়া তাহার আপন ছোট ভাই খোকন মিয়া ও ছোট ভাই এর স্ত্রী হোসনা আক্তার কেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নির্যাতন করে আসছেন যাহার ভিডিও প্রমাণসহ অভিযুক্তের নিকট সংগ্রহীত আছে।
অভিযুক্ত আব্দুস ছাত্তার ধর্ষনে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর অনাগত শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায় নিজেকে দীর্ঘদিন আত্মগোপন রেখেছিলেন, গত ২৬ জুলাই ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী-কন্যা সন্তানের জননী হয়েছেন।
বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্ত গত ২৭ জুলাই বুধবার নিজেকে নির্দোষ দাবী করে এবং মেডিকেল রিপোর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে নিজেকে শতভাগ নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন বলে সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
তিনি আরো বলেন আমি যদি অপরাধ করি তাহার জন্য মেডিকেল পরিক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে প্রমাণিত হলে শাস্তি মাথাপেতে বরণ করব।
Discussion about this post