বিডি ল নিউজঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বলেছিলেন। বুধবার মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার তাকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব একনেক সভায় এ অর্থ অনুমোদন দেওয়া হয়।
ঢাকা উত্তরের রাস্তা, ফুটপাত, নর্দমা, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণসহ ওই এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে তাঁকে এই অর্থ দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তরে ওয়ার্ড মোট ৩৬টি। এর আয়তন প্রায় ৮২ বর্গকিলোমিটার। কূটনৈতিক পল্লী, অধিকাংশ কর্পোরেট হাউস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঢাকা উত্তরে অবস্থিত। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক অফিস রয়েছে। এছাড়া এসব এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে সরকারের। কিন্তু এসব এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। সড়ক ও নর্দমা অপরিচ্ছন্ন। একটু বৃষ্টি হলেই কূটনৈতিক এলাকাসহ অনেক স্থানে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। নগরবাসীর যাতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে জন্য ঢাকা উত্তর সিটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন রাস্তা, ফুটপাতের অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার আশা করছে, এর মাধ্যমে ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষ ও বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা উত্তরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলা হবে। এতে রাস্তা নির্মিত হবে ৪০ কিলোমিটার, খোলা ড্রেন নির্মাণ হবে ৫৬ কিলোমিটার, ফুটপাত উন্নয়ন হবে ৫৬ কিলোমিটার এবং পাইপ ড্রেন নির্মাণ হবে ২৫ কিলোমিটার। এর পাশাপাশি সড়কের জলাবদ্ধতা এবং বনানী লেকের দূষণ নিরসনে বিকল্প ড্রেনেজ সিস্টেম লাইন নির্মাণ করা হবে। ২০১৭ সালের মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন সরকার সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক।”লেটেস্টবিডিনিউজ
Discussion about this post