পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, প্রত্যেকের নিরাপত্তাবোধ (সেন্স অব সিকিউরিটি) থাকতে হবে। নিজস্ব নিরাপত্তাবলয় তৈরি করতে হবে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা থাকবে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রাজধানীর কলাবাগানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইজিপি।
গতকাল সোমবার কলাবাগানে বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে কর্মরত ছিলেন। সমকামীদের অধিকার-বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’-এর সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তনয় মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ঘটনা সম্পর্কে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডটি সুপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। খুনিরা অনেক দিন ধরে রেকি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, তাঁরা এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নন। তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই হত্যার ধরন এক মনে হলেও একটির সঙ্গে আরেকটিকে মেলানো যাবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্ট বা স্বতন্ত্র বাড়ির সবাইকে তাঁরা সিসিটিভি লাগানোর জন্য অনুরোধ করেছেন, চিঠি দিয়েছেন। প্রতিটি মহল্লার সমিতির সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেছেন, সিসিটিভি লাগানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সবাই যদি সিসিটিভি না লাগায়, তাহলে তাদের বাধ্য করা যায় না। বাধ্য করতে হলে সরকারকে আইন করতে হবে।
শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির সেন্স অব সিকিউরিটি থাকতে হবে। তাঁর নিজের নিরাপত্তা, তাঁর প্রতিবেশীর নিরাপত্তা, এলাকার নিরাপত্তা—এটা শুধু আমরা ঘরে ঘরে পাহারা দিয়ে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পারবে না। নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা, বলয় তৈরি করতে হবে। আমাদের সহযোগিতা থাকবে। আমাদের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তাকর্মী থাকবে। তাদের যে সোসাইটি থাকবে, তাদের সঙ্গে পুলিশের একটা সুসম্পর্ক থাকবে। প্রতিনিয়ত মিথস্ক্রিয়া থাকবে। তাদের পাশে আমরা থাকব। কিন্তু তাদের এগিয়ে আসতে হবে।’
Discussion about this post