নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবিধান অনুযায়ী কার্যকরী পরিষদের সভায় মনোনীত নির্বাচন সাব-কমিটি আসন্ন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন ২০১৯-২০ কে সুন্দর ও সফলভাবে করার জন্য নির্বাচন বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত নির্বাচন বিধি প্রণয়ন করেন নির্বাচন সাব-কমিটি ২০১৯-২০ এর আহবায়ক জনাব এ ওয়াই মসিউজ্জামান। সকল প্রার্থী এবং বারের সদস্যগণকে নি¤œলিখিত বিধিমালা অনুসারে যথাযথ ভাবে পালন/অনুসরণ করার জন্য অবহিত করা হয়েছেঃ
১। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় কোন প্রকার ক্যাম্প, প্যান্ডেল, তাবু ইত্যাদি তৈরি করা হবে না এবং করা যাবে না।
২। নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় কোন প্রার্থী বা প্রার্থীগণের পক্ষের কোন প্রকার প্যানেল তৈরি ও মুদ্রিত প্যানেল পরিচিতিপত্র বিতরণ করা যাবে না।
৩। প্রার্থী/প্যানেল পরিচিতির জন্য সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় কোন প্রকার ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টার টাঙ্গানো যাবে না।
৪। নির্বাচন সাব-কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য অত্র বারের নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য (ভোটার) নির্বাচনী প্রচারে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রার্থীর পক্ষে কোন প্রকার র্যালি, মিছিল করা যাবে না। অত্র বারের সদস্য ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না।
৫। নির্বাচন সাব-কমিটির অনুমোদন ব্যতিত কোন ভোটার নির্বাচনের প্রার্থী/প্রার্থীগণের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না।
৬। ১৩ ও ১৪ মার্চ, ২০১৯ ইং তারিখে নির্বাচনের দুই দিন সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় কোন প্রকার প্রচার প্রচারণা করা যাবে না।
৭। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তারিখ হতে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় নির্বাচনের প্রার্থী বা প্রার্থীগণের পক্ষে হলরুম, মহিলা আইনজীবীদের কমনরুম, এডভোকেট লাউঞ্জ, কিউবিক্যালসে বাহির থেকে আনা কোন প্রকার খাবার, প্যাকেট সরবারহ করা যাবে না এবং ক্যান্টিন ও অলিম্পিয়ায় স্লিপ ব্যবহার করে খাবার পরিবেশ ও গ্রহণ করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে সম্মানিত সদস্যগণের পারিবারিক বা ব্যাক্তিগত কোন অনুষ্ঠান বা বিবাহ বার্ষিকী ও জন্মদিনসহ কোন প্রকার অনুষ্ঠান বা অনুষ্ঠানের নামে খাওয়া দাওয়া ব্যবস্থা করা যাবে না।
৮। ০৩/০৩/২০১৯ ইং তারিখ হতে ১৪/০৩/২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোন প্রকার ব্যক্তি, সমিতি, প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোন প্রকার খাওয়া প্রদান ও গ্রহণ করা যাবে না।
৯। কমিশনের পক্ষ হতে বিশেষ অনুরোধ ৬ হইতে ১৪ মার্চ পযন্ত কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট ব্যক্তি ব্যতিত সমিতির প্রাক্তন কার্য নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা, সদস্য ও সম্মানিত সিনিয়র আইনজীবীগন দলবদ্ধভাবে প্রার্থীদের পক্ষে কোন প্রকার ভোট চাইতে পারিবেন না।
কোন প্রার্থী এককভাবে, দলগতভাবে বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কেউ কোন ধরনের ঝগঝ মোবাইল মারফত প্রেরণ করতে পারবেন না।
১০। নির্বাচনের প্রচার কার্যে প্রার্থী/প্রার্থীগণের পক্ষে প্রচারণার উপকরণ হিসেবে টুপি, টি শার্ট মাথাবন্ধনী ইত্যাদী ব্যবহার করা যাবে না।
১১। প্রত্যেক প্রার্থীকে নমিনেশন ফরমের সাথে ভোটার লিষ্ট প্রদান করা যেতে পারে।
১২। প্রত্যেক প্রার্থী ১ (এক) দিনে ১জন ভোটারকে ১টির বেশি ঝগঝ দিতে পারবেন না।
১৩। নির্বাচনের দিন প্রার্থী/ প্রার্থীগণের পক্ষে ভোটার আনা-নেয়ার কাজে কোন প্রকার যানবাহন সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করবে না।
১৪। নির্বাচনে প্রার্থীগণ বা অন্যরা কোন অবস্থাতেই নির্বাচনী প্রচারণাকালে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রীর নাম ব্যবহার ও রাজনৈতিক শ্লোগান সম্বলিত কোন রকম কার্ড বা প্রচারপত্র বিলি করতে পারবেন না।
১৫। নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন না।
১৬। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভাবমূর্তি রক্ষর্থে নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীগণ বাড়ী গিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে পারবেন না।
১৭। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের পর এবং বুথে ভোট প্রদান কালে কোন ভোটার ভোট সংক্রান্ত ব্যাপারে কোন প্রকার আলাপ-আলোচনা করতে কিংবা কার্ড, প্রচারপত্র, প্রার্থী তালিকা ইত্যাদি বিলি করতে পারবেন না।
১৮। ভোট প্রদানের সময় সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানোর জন্য বিজ্ঞ ভোটারের সমিতির পরিচয়পত্র প্রদর্শন পূবক ব্যালট পেপার সংগ্রহ করতে হবে।
১৯। যদি কোন ভোটারের পরিচয় সমন্ধে কারো কোন সন্দেহ বা আপত্তি থাকে তবে তা উক্ত ভোটার ভোট প্রয়োগ করার সময় অথবা পূর্বে নির্বাচন সাব-কমিটিকে অবহিত করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নির্বাচন বিধিমালা অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে বিধিতে বর্ণিত প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যেমন ঃ
ক) নির্বাচন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রার্থী/ প্রার্থীগণের ঘড়সরহধঃরড়হ চধঢ়বৎ বাতিল করা হবে।
খ) সুপ্রীক কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্যদের ক্ষেত্রে এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির নিকট তিন মাসের জন্য সদস্য পদ স্থগিত করার জন্য প্রেরণ করা হবে।
গ) বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত এডভোকেটের ক্ষেত্রে বার কাউন্সিল বিধিমাল অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বার কাউন্সিলে প্রেরণ করা হবে।
ঘ) আইনজীবী নন এমন ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া ভোট দানের সময় প্রত্যেক ভোটার সভাপতি পদে ১টি ভোট, সম্পাদক পদে ১টি ভোট, সহ-সভপতি পদে ২টি ভোট, সহ-সম্পাদক পদে ২টি ভোট এবং সদস্য পদে ৭টি ভোট প্রদান করতে হবে। অন্যথায় উল্লিখিত পদে প্রদত্ত ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান কালে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, যে কোন ইলেকট্রোনিক ডিভাইস সংগে নেওয়া যাবে না।
Discussion about this post