বিডি ল নিউজঃ ফাতেহার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইব্রাহিম খলিলের বাড়ি থেকে রেলের একটি লোহার পাত ও একটি ছোরাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে সিলেট শহরের চারাদিঘীর পাড়ে নিজের বাড়িতে ৫৫ বছর বয়সী ইব্রাহিম আবু খলিলের লাশ পাওয়া যায়।
শোবার ঘরের খাটের নিচে লাশটি ছিল হাত-বাঁধা ও গলা কাটা অবস্থায়। নিহতের মুখের উপর একটি বালিশও চাপা দেওয়া ছিল।
তার ছেলে সাজিদ উদ্দিন জানান, ইব্রাহিম ছিলেন সিলেট তাবলিগ জামায়াতের একজন স্থানীয় আমির। ভারতে চিল্লা শেষে তিন দিন আগে তিনি দেশে ফেরেন।
নিহতের ঘর থেকে ল্যাপটপ ও স্বর্ণালঙ্কার খোয়া গেছে বলেও লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশকে জানায় ওই পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনার তদন্তের মধ্যেই সোমবার বিকালে তার প্রথম স্ত্রী ফাতেহা মাশরুকা (৪০) ও ছোট ছেলে সাজিদকে (১৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেহা পুলিশকে জানান, তার স্বামী ইব্রাহিম তিনটি বিয়ে করেছেন। তিনি তার প্রথম স্ত্রী।
দ্বিতীয় স্ত্রী মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর এলাকায় থাকেন। ইব্রাহিম তৃতীয় বিয়ে করেছেন দিনাজপুর জেলায়।
কোতোয়ালির ওসি বলেন, তাবলিগ জামায়াতে বেশি সময় কাটানো, একাধিক বিয়েসহ নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। এ অবস্থায় ফাতেহা সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা করে সন্তানদের ‘ভবিষ্যত ঝামেলামুক্ত’ করতে বললে ইব্রাহিম তা এড়িয়ে যান।
Discussion about this post