নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কারের চান আন্দোলনকারীরা। কতভাগ কোটা কমানো হবে—এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও কোটা কমানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন এবং সড়ক অবরোধের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান।
এসময় রাশেদ খান বলেন, ‘সরকারের একেক ব্যক্তির একেক ধরনের বক্তব্য আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না।’ ‘যারা ভিসি স্যারের বাসায় হামলা চালিয়েছে ও আগুন দিয়েছে, তারা সুবিধাভোগী ও অনুপ্রবেশকারী। আমরা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
‘যারা আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে, তাদের আপনার ধরিয়ে দিন। এদের সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিও আহবান জানান তিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে আন্দোলনে না আসার জন্য যে হামলা চালানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সভাপতি আমাদের এক বোনের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। তাকে আজীবন বহিষ্কারে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরের দাবি জানাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়কদের আন্দোলন বন্ধ করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি এ ধরনের কাজের নিন্দা জানান। আন্দোলনে বাধা না দিয়ে বরং এতে একাত্ম হওয়ার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
Discussion about this post