প্রধান বিচারপতি এবং বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী।
সোমবার (০৭ মার্চ) ডাকযোগে আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ পাঠান। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই মন্ত্রীকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪-এর অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারক বিচারকাজ পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন। মন্ত্রীর নির্দেশনামূলক বক্তব্য সরাসরি বিচার বিভাগ এবং প্রধান বিচারপতির বিচারিক ক্ষমতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল। তাই দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অসাংবিধানিক ও আদালত অবমাননার শামিল।”
নোটিশে আরও বলা হয়, “এসব বক্তব্যের মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগে বিচারাধীন রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন। রায় প্রকাশের আগেই কোনো মামলায় আদালত কী রায় দেবেন, তার নির্দেশনামূলক বক্তব্যের মাধ্যমে আপনারা অনুরোধ করেছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থী ও আদালত অবমাননার শামিল। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রধান বিচারপতিকে আপনারা বিচারাধীন মামলা থেকে সরে নতুন বেঞ্চ গঠন এবং পদত্যাগের দাবি করেছেন, যা সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে আহ্বান করছি। তা না হলে উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানি করার দাবি জানান। তিনি এই মামলার শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেন।
Discussion about this post