দেশে ফিরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দায়িত্ব গ্রহণ সুদূরপরাহত বলে ফের মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দায়িত্ব গ্রহণ সুদূরপরাহত, আজও বলছি। কারণ, অন্য বিচারপতিরা যদি তার সঙ্গে না বসতে চান, তাহলে তিনি কিভাবে বিচার করবেন?’
মাহবুবে আলম আরো বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউর সঙ্গে প্রধান বিচারপতির আসা না-আসার কোনো সম্পর্ক নেই।’
এর আগে গত ১৪ অক্টোবরও সংবাদ সম্মেলনে ওই একই মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে এসে দায়িত্ব গ্রহণ সুদূরপরাহত ব্যাপার।
সেদিন তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বেঞ্চে বসার ব্যাপারে সরকার বিরত করেনি। বরং তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠায় তার সহকর্মীরা তার সঙ্গে বসতে রাজি হননি বলে তিনি ছুটি নিতে বাধ্য হয়েছেন। এটা দেশবাসীর জানা উচিত।
গত ১৩ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ-৪৪৭ ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়া যান প্রধান বিচারপতি।
অবকাশকালীন ছুটি শেষে গত ০২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার আগের দিন অসুস্থতার কথা জানিয়ে একমাসের (০৩ অক্টোবর থেকে ০১ নভেম্বর) ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে বিদেশে যেতে আরও দশদিনের (০২ থেকে ১০ নভেম্বর) ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি।
গত ০২ অক্টোবর আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ওই একমাসের জন্য প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি। বিচারপতির সিনহার ছুটি বেড়ে যাওয়ায় বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞার দায়িত্বকালও ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে বাসভবনের গেটে সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্য দিয়ে যান প্রধান বিচারপতি। পরদিন বিবৃতি দিয়ে প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যকে বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্বলিত দালিলিক তথ্যাদি আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন। এর মধ্যে বিদেশে অর্থপাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ আরও সুনির্দিষ্ট গুরুতর অভিযোগ রয়েছে’।
Discussion about this post