বিডিলনিউজঃ আগামী রবিবারের “মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি”তে সরকারের পতন আর গণতন্ত্রের উৎসব হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা রবিবার প্রয়োজনে জীবন দেব, তবু পিছপা হব না।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পেশাজীবী পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল রবিবার সারা দেশের হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষ গণতন্ত্র রক্ষায় ঢাকায় জমায়েত হবে। সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে। আমরা সংঘাত চাই না, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগ দিতে ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় পৌঁছেছেন। হাজার হাজার মানুষ ঢাকার পথে। কাল ঢাকায় মানুষের ঢল নামবে।’
মাহবুব অভিযোগ করে বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী লঞ্চে তল্লাশির নামে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। সারা দেশের বাস বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশে আসতে মানুষকে বাধা দেয়া হচ্ছে। বাংলার ১৬ কোটি মানুষ সরকারের অবরোধ ভেঙে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যোগ দেবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভাই, আমাদের সন্তান। আপনারা একটি দলের হয়ে কাজ করবেন না। মাঠে এখন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী রয়েছে। আর সেনাবাহিনীর অবস্থানে যৌথ বাহিনী ও পুলিশ আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেবে- সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।’
সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত সহিংসতার সৃষ্টি হয় না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাই। কিন্তু প্রশাসন বাধা দিলে সহিংসতা হবেই।’
আওয়ামী লীগ সংবিধান ও গণতন্ত্র হত্যা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার নামে তা হত্যা করছে। গণতন্ত্রের দোহায় দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। দেশব্যাপী চলছে সরকারের অঘোষিত অবরোধ।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আমরা এ কর্মসূচি পালন করব।’
সেখানে সব সংবাদকর্মীকে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।
Discussion about this post