I believe in living in harmony with all of humanity in general. we may differ in so many issues but still we can live together peacefully…
প্রসংগটা আসল প্রসাদ খাওয়া নিয়ে। একজন বলছিল প্রসাদ খাওয়া তো মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ কিন্তু যখন আমার হিন্দু বন্ধুটি প্রসাদ দেয় তখন তাকে না করাটা কিছুটা বিব্রতকর আবার খাওয়াটাও ঠিক না। কি করবে সে?
উত্তরটা সহজ। খাবে না। না করে দিবে। কিন্তু সম্মানের সাথে কথাটা হিন্দু বন্ধুটিকে বোঝাতে হবে। সে অবশ্যই বুঝবে।
আচ্ছা তাহলে কিভাবে বোঝাবে?
প্রত্যেক ধর্মে কিছু নিষেধ আছে যা অন্য ধর্মে নিষিদ্ধ নাও হতে পারে। আচ্ছা আরো সহজে বলি, হিন্দু ধর্মে গরুর মাংস খাওয়া নিষেধ। কিন্তু মুসলিমরা যখন কোরবানী দিয়ে গরুর মাংস খায় তখন তা তার কাছে পবিত্র। কিন্তু সেই গরুর মাংস মুসলিমদের কাছে পবিত্র বলেই এটা সে তার হিন্দু বন্ধুটিকে সাধতে পারে না খাওয়ার জন্য কারন প্রাণীটি তাদের কামাধেনু দেবীমাতার রুপ। একইভাবে প্রসাদ হিন্দুদের জন্য পবিত্র হলেও মুসলিমদের কাছে তা নিষিদ্ধ কারন তা আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন নামে উতসর্গীকৃত।
হিন্দু বন্ধুটিকে গরুর মাংস সাধলে (যা তার জন্য নিষিদ্ধ) সে যেমন offended হতে পারে, তেমনি মুসলিম বন্ধুটিকে প্রসাদ সাধলে সেও offended হতে পারে, not the other way round, কারন এটা মুসলিম বন্ধুটির জন্য নিষিদ্ধ।
অনেকে ভাবতে পারেন খেতে না চাইলে হিন্দু বন্ধুটি হয়তো মনে কষ্ট পেতে পারে। নিজেকে প্রশ্ন করুন “হিন্দু বন্ধুটিকে আপনি গরুর মাংস খেতে বললে হিন্দু বন্ধুটি কষ্ট পাবে নাকি আপনি কষ্ট পাবেন?” অবশ্যই হিন্দু বন্ধুটি কষ্ট পাবে। তাহলে একইভাবে একজন মুসলিমকে যদি প্রসাদ খেতে বলেন তাহলে স্বাভাবিকভাবে তো মুসলিম বন্ধুটির কষ্ট পাবার কথা।
তাহলে সারমর্ম হল প্রসাদের খাবার হিন্দুদের কাছে স্বাভাবিক এবং পবিত্র হলেও মুসলিমদের জন্য নয়, অনূরূপভাবে কোরবানীর গরুর মাংস মুসলিমদের জন্য স্বাভাবিক এবং পবিত্র হলেও হিন্দুদের জন্য নয়।
আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে চেষ্টা করলাম যাতে আমাদের মধ্যে better understanding আর mutual respect এর মাধ্যমে যার যার মূল্যবোধ ধরে রাখতে পারি আবার একই সাথে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে মিশে এক সাথে চলতে পারি।
Writer: Hassan Asheq Mahmood
Discussion about this post