প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অনিয়ম খতিয়ে দেখতে অডিটর (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ র্বোড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আইডিআরএ সূত্র জানায়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহের প্রথম বা দ্বিতীয় কার্যদিবসে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং চেয়ারম্যানের কাছে অডিটর নিয়োগের নির্দেশনা পাঠাবে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ।
অডিটর পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রাইম ইসলামী লাইফের ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের ব্যবসায়িক চিত্র নিরীক্ষা করবে। এর মধ্যে কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, বিনিয়োগ, প্রিমিয়াম আয়, তামাদি পলিসি, লাইফ ফান্ড ও সম্পদের প্রকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
আইডিআরএ’র কাছে অভিয়োগ রয়েছে, ২০০৯-১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৭ বছরে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের তুলনায় ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারিত টাকার চেয়ে ৭১ কোটি ৭০ লাখ বেশি দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
বিমা বিধিমালার (১৯৫৮) ৩৯ বিধি মতে প্রথম বর্ষ ব্যবসার জন্য ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও কোম্পানিটি ২০১৫ সালে ৭ কোটি ৪৯ লাখ, ২০১৪ সালে ১৬ কোটি ১৫ লাখ, ২০১৩ সালে ২৪ কোটি ৩ লাখ, ২০১২ সালে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ, ২০১১ সালে ৭ কোটি ৯৮ লাখ, ২০১০ সালে ২ কোটি ১৩ লাখ এবং ২০০৯ সালে ৪৯ লাখ টাকা বেশি খরচ দেখায়।
এর আগে বিশেষ নিরীক্ষায় পদ্মা ইসলামী, প্রগতি, মেঘনা, সানফ্লাওয়ার ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স’র বিরুদ্ধে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা লোপাটের চিত্র উঠে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআর’এ সদস্য ও মুখপাত্র জুবের আহমেদ খান বলেন, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিয়ম বহির্ভুত খরচ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও ২০১১ সালের প্রথম দিকে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে লভ্যাংশ বিতরণ, প্রিমিয়াম ও আমানত সংগ্রহ, বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে অনিয়মের চিত্র আইডিআরএ’র নজরে আসে।
Discussion about this post