চট্টগ্রামে আদালত চলাকালীন সময়ে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে হঠাৎ এজলাস কক্ষে ঢুকে পড়েন এক যুবক। এ সময় আদালত কিছুক্ষনের জন্য মুলতবী ঘোষণা করা হয়।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ আদালত চলাকালীন সময়ে হঠাৎ এক যুবক রক্তাক্ত শরীরে আদালতের এসলাস কক্ষে দৌড়ে প্রবেশ করে। এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালত ৫ম এর কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান কিছুক্ষনের জন্য আদালত মুলতবী ঘোষণা করেন।
এই আদালতে কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্য জানান “আদালত ভবনের নিচতলায় এই মারামারি ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ বাঁচাতে একজন দৌড়ে উপরে উঠে আদালত কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় পিছন দিক থেকে কয়েকজন ছেলে ধাওয়া করে উপরে উঠে এসলাস কক্ষের বাইরে পুলিশ দেখে পালিয়ে যায়। পরে আহত ছেলেটিকে হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।”
জানা যায়, আদালতে হাজিরা দিতে আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর সাথে মোবাইলে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতে সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। আসলাম চৌধুরীর সমর্থকদের দুই গ্রুপ এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে দুই কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষনিক তাদের নাম জানা যায়নি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে জেলা জজ আদালতে একটি মামলায় হাজিরার জন্য নেয়া হয়েছিল। আদালতের কার্যক্রম শেষে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তার কর্মীরা সেলফি তোলা নিয়ে মারামারি শুরু করেন। এসময় ছুরিকাঘাতে দুজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দ্রুত আসলাম চৌধুরীকে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেয়। এরপর কর্মীরা সবাই চলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এই ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গনে কোতয়ালী থানা পুলিশের টিম মোতায়েন করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের উপস্থিতিও দেখা গেছে। রোববার মহানগর আদালতে আসলাম চৌধুরীর হাজিরা ছিল। হাজিরা শেষে আসলামকে নিয়ে যাবার পর আদালতের বাইরে উত্তর জেলা ছাত্রদলের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। এতে ছাত্রদলের এক নেতা আহত হন।
সোমবার আসলামকে আদালত থেকে ফিরিয়ে নেয়ার সময় সেলফি তোলা নিয়ে হুড়োহুড়ি হয়। এর মধ্যে আগের দিন রবিবারের ঘটনার জেরে সোমবারে দুজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
Discussion about this post