যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী যদি প্রাণ ভিক্ষা না চান তবে সরকার যে কোনো সময় রায় কার্যকর করতে পারবে।
সোমবার (০৯ মে) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কবে কোন সময় রায় কার্যকর হবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষের বিষয়, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। তবে প্রাণ ভিক্ষা না চাইলে রায় যেকোনো সময় কার্যকর করা যেতে পারে।
এর আগে দুপুরে নিজামীর রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে বিকেলে তা পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
সোমবার (০৯ মে) দুপুর সোয়া তিনটার দিকে পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করেন রায় প্রদানকারী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
দুপুর সাড়ে তিনটায় প্রকাশিত হয় ২২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়।
সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী জানান, সোমবারই এ রায় বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পর নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গত ০৫ মে নিজামীর করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আনোয়ারুল হক ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন নিজামীকে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী।
Discussion about this post