গাজীপুরে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে হত্যার দায়ে তার পরকীয়া প্রেমিক আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়া (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিকে একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ-১ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাঁনপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান ওরফে মনা চৌধুরীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়া (৬৫)। পরকীয়া প্রেমিকা একই এলাকার মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে করিমন নেছাকে (২৮) হত্যার ১৮ বছর পর তাকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়ে এ রায় দেন আদালত।
এ হত্যা মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় একই এলাকার নাছির উদ্দিনের দুই ছেলে নাজিম উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন এবং কান্দুর আলীর ছেলে ফজলুল হককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় ৩২ বছর আগে করিমন নেছার সঙ্গে একই এলাকার চাঁন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত কালু মিয়ার সঙ্গে করিমন নেছার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে কালু মিয়ার চাপে করিমন নেছা ও তার স্বামী চান মিয়া পরস্পরকে তালাক দেন। এরপর থেকে ভাই সফিজ উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন করিমন।
১৯৯৯ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বোন রহিমন নেছার বাড়ি থেকে ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন করিমন। ২৫ জানুয়ারি দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে কচুরিপানার নিচে মরদেহ পাওয়া যায়।
পরে কালু মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ভাই সফিজ উদ্দিন। পরে কালু মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
দীর্ঘ দেড় যুগের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আতাউর রহমান খান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন মো. হুমায়ূন কবির।
Discussion about this post