নিজস্ব প্রতিবেদক:
কয়েকমাস আগে প্রেমের টানে কলেজছাত্রীর ধর্মান্তর হয়ে হয়ে বিয়ে, অপহরণের দায়মুক্তি চাইতে নিজেই থানায় হাজির।ফরিদপুরের মধুখালীতে অপহরণের দায়মুক্তি নিয়ে কলেজছাত্রী দিশা সাহা ধর্মান্তর হয়ে ফাতেমা আক্তার স্বামীর ঘরে উঠেছেন।
এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা দিপক কুমার সাহা গত ১৪ জুন মধুখালী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ কয়েক মাস পরে সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মেয়েটি ছেলেটিকে সাথে নিয়ে নিজেই মধুখালী থানায় হাজির হন অপহরণের দায়মুক্তি চাইতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের টানে এক মুসলমান যুবকের সাথে পালিয়ে দুজনে বিয়ে করেন দিশা সাহা।দিপক কুমার সাহার মেয়ে দিশা সাহা কে অপহরণের অভিযোগ তোলেন মেয়েটির বাবা।
মামলা সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিশাকে কলেজে যাতায়াতের পথে বিরক্ত করতো কালাম মৃধা।
চলতি বছরের ১৪ জুন ছেলেটি ও তার সঙ্গীয় লোকজন মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এমন অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা।
অপহৃত দিশা সাহা থানায় হাজির হয়ে জানায়, আমি কালাম মৃধাকে ভালবাসার সম্পর্ক করে পালিয়ে দুজন বিয়ে করি। বর্তমানে আমি মুসলমান হয়ে আমার আগের নাম পরিবর্তন করে ফাতেমা আক্তার নামে স্বামীর সাথে সুখে শান্তিতে সংসার করছি।
আমার বাবা আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করায় আজ মোকাবেলা করতে স্বামীকে সাথে নিয়ে নিজেই থানায় এসেছি।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা জানান, দিশা সাহা ১৮ বছর পার করায় তার নিজের ইচ্ছায় এভিডেভিড করে ধর্মান্তর হয়ে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী একটি মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করেছেন। কেউ তাকে অপহরণ করেনি। এখন থেকে সে স্বামীর সংসারে থাকবেন এই মর্মে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাদিয়া ইসলাম মেয়েটিকে তার নিজ জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেন। সোমবার
বিকেলে আদালত থেকে বের হয়ে মেয়েটি তার স্ব-ইচ্ছায় স্বামীর সাথে স্বামীর বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়ের বাবার করা অপহরণ মামলায় মেয়েটি নিজেই সোমবার সকালে থানায় হাজির হন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে মেয়েটিকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
Discussion about this post