নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তিসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আগামী ২০ জুলাই (শুক্রবার) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অথবা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।
আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ একথা জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার মানুষের যাতায়াত কম থাকে, তাই দুই জায়গা উল্লেখ করেই চিঠি দিয়েছি। যেখানেই দিক, আমরা সমাবেশ করবো। গতকাল মহাসচিব এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তারপরে নতুন কিছু যুক্ত হয়েছে। ঢাকায় সমাবেশ হবে। এছাড়াও একই দাবিতে ঐদিন দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলায় বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী বলেন, ‘বেগম জিয়ার অসুস্থতা সবাই জেনে যাবে বলেই তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছেনা। এটি সরকারের দয়ামায়াহীন চরম অমানবিকতা। আমি দলের পক্ষ থেকে সরকারের এই নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বেগম জিয়াকে অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে সুচিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
রিজভী আরও বলেন, ‘সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন-খুলনা ও গাজীপুরের মতোই তিন সিটিতে নির্বাচন হবে। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেব সুষ্ঠূ ভোট কারচুপির সুষ্পষ্ট আভাস দিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শাসকের বিরোধীতা করার অর্থ রাষ্ট্রের বিরোধীতা করা নয়। আর এই বিরোধীতার জন্য নিরপরাধ ব্যক্তিদেরকে পুলিশ ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে রক্তাক্ত করা ঘোরতর অন্যায় ও পাপ। রোববার শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের তাণ্ডব পুলিশের উপস্থিতিতেই ঘটেছে। তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে কোটা আন্দোলনের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে সেদিন প্রধানমন্ত্রী যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন সেটিতে ব্যর্থ হয়ে এখন তিনি আন্দোলনকারীদের দমাতে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়াম্যান শওকত মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post